বদনজরের গোসলের নিয়মঃ
বদনজরের গোসলের নিয়মঃ
-----------
একটা বালতিতে পানি নিবেন, তারপর ওই পানিতে দুই হাত ডুবিয়ে নিচের আয়াত/দুয়াগুলো পড়বেন -
- দরুদ শরিফ (৭বার)
- সুরা ফাতিহা (৭বার)
- আয়াতুল কুরসি (৭বার)
- সুরা কাফিরুন (৭বার)
- সুরা ইখলাস (৭বার)
- সুরা ফালাক (৭বার )
- সুরা নাস (৭বার)
- আবার দুরুদ শরীফ (৭বার) ।
যদি সময় কম থাকে তবে প্রতিটি ৩ বার করে পড়তে পারেন। ৩ বার পড়ারও সময় না থাকলে আপনি ১ বার করেই পড়তে পারেন। সুরা কাফিরুনও বাদ দিতে পারেন। তবে বেশি পড়লে উপকার বেশি হবে।
এগুলো পড়ার পর হাত উঠিয়ে নিবেন এবং এই পানি দিয়ে গোসল করে ফেলবেন। এরপরে চাইলে অন্য পানি দিয়েও গোসল করতে পারেন
অভিজ্ঞ রাকীর মাধ্যমে জিন, যাদু, নজরের রুকইয়াহ সার্ভিস নিতে যোগাযোগ করুন : 01708-732272
সংশ্লিষ্ট কিছু প্রশ্নের উত্তরঃ
===============
প্রশ্নঃ গোসলখানার সাথে টয়লেট আছে, এখন ভেতরে পড়া যাবে?
উত্তরঃ ভেতরে পড়া যাবে না। আপনি বালতির পানি বাইরে এনে পড়বেন ।
প্রশ্নঃ একবার পানি তৈরি করে নিয়ে কয়েকদিন মিক্স করে করে গোসল করা যাবে?
উত্তরঃ এই গোসলের নিয়ম হলো প্রতিদিনের পানি প্রতিদিন তৈরি করা।
প্রশ্নঃ মেয়েরা পিরিয়ডের সময় কিভাবে পানি তৈরি করবে?
উত্তরঃ যেহেতু এই সময়ে কুরআন তিলাওয়াত নিষিদ্ধ, সেহেতু পরিবারের অন্য কেউ পানি তৈরি করে দিবে। এরপরে রোগী গোসল করে নিবেন। যদি এটা পারা না যায় তবে রুকইয়ার দুয়াগুলো পড়ে পানি তৈর করবে।
প্রশ্নঃ আগে গোসল করে এরপর রুকইয়াহ শোনা যাবে?
উত্তরঃ যাবে। তবে আগে রুকইয়াহ শুনে পরে গোসল করা উত্তম।
প্রশ্নঃ পানি তৈরি করার সময় দেখে দেখে দোয়া/সুরা পড়লে হবে?
উত্তরঃ মুখস্ত বা দেখে দেখে যেকোন একভাবে পড়লেই হবে।
প্রশ্নঃ একজনের গোসলের পানি দিয়ে দুইজন গোসল করতে পারবে?
উত্তরঃ পানি গায়ে ঢালার মত যথেষ্ট হলে পারবে।
প্রশ্নঃ গোসলের পানি গরম করা যাবে?
উত্তরঃ আয়াত/দুয়াগুলো পড়ার পর গোসলের পানি গরম করবেন না। তবে আগে থেকে গরম পানি নিয়ে তাতে দুয়া/আয়াতগুলো পড়তে পারবেন।
Comments
Post a Comment